ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংগঠিত জুলাই বিল্পবের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পরিবর্তন হয় প্রশাসনেরও। এরপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক কার্যক্রম, যার লক্ষ্য চবিকে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের মর্যাদায় তুলে ধরা এবং এতবছরের সকল অনিয়মকে বিচ্ছিন্ন করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো:১. কটেজ ভাড়া ৫০% কমানো: ক্যাম্পাসের আশপাশের কটেজগুলোর ভাড়া কমিয়ে আনা হয়েছে (২৯ সেপ্টেম্বর)।২. রিকশা ভাড়ার তালিকা কার্যকর: ক্যাম্পাসে রিকশা চলাচলের জন্য নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা কার্যকর করা হয়েছে (২৭ অক্টোবর)।৩. অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে চালু: চবির যাবতীয় ফি পরিশোধের জন্য সোনালী ব্যাংকের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে চালু করা হয়েছে (৬ নভেম্বর)।৪. খাবার হোটেল মূল্য তালিকা নির্ধারণ: চবির অভ্যন্তরে ও আশপাশের খাবার হোটেলগুলোতে কার্যকরী মূল্য তালিকা চালু করা হয়েছে (২৭ নভেম্বর)।৫. র্যাঙ্কিং উন্নীতকরণ কমিটি গঠন: বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং উন্নয়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে (২৭ নভেম্বর)।৬. জরুরি সনদ প্রদান সহজীকরণ: ৩ দিনের মধ্যে ইমেইলের মাধ্যমে জরুরি সনদ তোলার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে (৮ ডিসেম্বর)৭. কাউন্সেলিং ইউনিট চালু: চবি মেডিকেল সেন্টারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য কাউন্সেলিং ইউনিট চালু করা হয়েছে (৯ ডিসেম্বর)।৮. ডোপ টেস্ট ব্যবস্থা চালু: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে (৯ ডিসেম্বর)।৯. দ্রুতযান বাস সার্ভিস চালু: বহুল প্রতীক্ষিত নিউ মার্কেট-চবি ক্যাম্পাস দ্রুতযান বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে (১১ ডিসেম্বর)।১০. জোবাইক ও ফ্রি ওয়াই-ফাই চালুর ঘোষণা: জানুয়ারি মাসে চবিতে জোবাইক পরিষেবা এবং পুরো ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ ফ্রি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।১১. শাটল ট্রেন শিডিউল বৃদ্ধি: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাটল ট্রেনের শিডিউল আরও ৪টি বাড়ানো হয়েছে।১২. নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কার: শিক্ষক নিয়োগে শুধুমাত্র ভাইভার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রাথমিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে১৩. চারুকলা ইনস্টিটিউট স্থানান্তর: শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চবি মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।১৪. ইলেকট্রনিক গলফ কার্ট চালু পরিকল্পনা: পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক গলফ কার্ট চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চবি প্রশাসন।পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার করার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। বহিরাগত বাইকের প্রবেশে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের গেটগুলোতে গার্ড ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।হলের খাবারের মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীরা মেস সিস্টেম চালু করেছে। পাশাপাশি ২৩০০ একরের বিশাল ক্যাম্পাসে জমি লিজ দিয়ে কৃষিকাজে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।