রাজবাড়ীর নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেছেন, জেলার প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সার্কেল অফিস হবে জনগণের সেবাকেন্দ্র

রাজবাড়ীর নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেছেন, জেলার প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সার্কেল অফিস হবে জনগণের সেবাকেন্দ্র। মানুষ সেবার জন্য আসবে। আমরা তাদের সেবা দিতে ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকবো। কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও পরিচিতি সভায় এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন, রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সহ-সভাপতি এম. মনিরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টুটুল, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কবির হোসেন, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হেলাল মাহমুদ প্রমুখ।
এসময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শরীফ আল রাজীব, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আবু রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, থানাকে "প্রথম সাড়া প্রদানকারী" (ভরৎংঃ ৎবংঢ়ড়হফবৎ) হিসেবে গড়ে তোলা। ভুক্তভোগী ও অসহায়দের কথা সরাসরি শুনে আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা। থানা হবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান। অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্তে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা। ঘুষ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অন্যায় দাবি প্রশ্রয় পাবে না। আইন ভাঙলে পুলিশ সদস্যকেও ছাড় দেওয়া হবে না। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমের বিরু্দ্েধ পুলিশি অভিযান চলমান থাকবে। প্রতিটি অভিযোগ, জিডি ও মামলা মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনে আলাদা দক্ষ টিম গঠন করা হবে। গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত মামলা তদন্তে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগনের সাথে পুলিশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করা। বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ নিবারণে স্থানীয় গণ্যমান্য ও ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা। বিভিন্ন অপরাধ নিবারন ও নিয়ন্ত্রনে তাৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা। নৌ পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।  পশুর হাট কেন্দ্রিক সকল প্রকার চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদ উপলক্ষে বাস টার্মিনাল, সড়ক ও মহসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ। হাটে ট্রাক থেকে গরু নামানোর এবং বিক্রির সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। গরুর হাটকেন্দ্রিক স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতের জন্য পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হাটমালিক/ইজারাদারকে পরামর্শ প্রদান। যত্রতত্র যেন কোরবানির পশুর হাট না বসে এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সঠিক থাকে তা নিশ্চিত করা।  পশুবাহী গাড়িগুলো অবশ্যই পৌরসভা অনুমোদিত হাটের ভেতর লোড-আনলোডের ব্যবস্থা করা।  গরুর হাট কেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পৌরসভা, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা থেকে বিরত থাকতে বাস/ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে পরামর্শ প্রদান। মোটর সাইকেলের চালক ও আরোহীদের ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার যাতায়াতের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে। ঈদের আগে-পরে ফাঁকা রাস্তায় ওভারস্পিড প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করা। আনফিট/রুট পারমিট বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে, থাকবে। ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মসজিদ/ঈদগাহ কমিটিকে পরামর্শ প্রদান।
তিনি জেলাকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।