জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আজ শনিবার দুপুরে চাপারকোনা কালী মন্দির এলাকায় কালী মন্দির ও শ্মশান ঘাট ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবিতে চাপারকোনা, দোলভিটি ও হাটবাড়ি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
চাপারকোনা গোপাল বিগ্রহ , কালী মন্দির ও শ্মশান ঘাট পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপার গোনার পাশ দিয়ে ঝিনাই নদী প্রবাহিত। বানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩-৪ দিন ধরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। চাপারকোনা গ্রাম, মন্দির, শ্মশান ঘাট, বাজার, চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, চাপারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। গত তিন-চার দিনের ভাঙ্গনে কালী মন্দির ও শ্মশানঘাট বিলীন হতে চলেছে। শিগগিরই আঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনে ডোয়াইল ইউনিয়ন সরিষাবাড়ীর মানচিত্র থেকে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝিনাই নদীর ভাঙ্গন থেকে এ সকল স্থাপনা রক্ষার দাবিতে আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় চাপারকোনা কালী মন্দির ও শ্মশানঘাট এলাকায় তিনটি গ্রামের সনাতন ধর্মের লোকজন মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন চাপারকোনা গোপাল বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার পাল, ডোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষক ও গোপাল বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার মোহন্ত,ডোয়াইল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সালে আকরাম খান, গোপাল বিগ্রহ মন্দিরের কোষাধক্ষ অভিজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
চাপারকোনা গোপাল বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার পাল বলেন, শিগগিরই চাপারকোনা এলাকায় ঝিনাই নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ডোয়াইল ইউনিয়ন সরিষাবাড়ী উপজেলার মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম , সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনের হুমকির মধ্যে রয়েছে।