বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ওই শিক্ষককে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত শাহাদত হোসেন (৪৫) ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১১ আগস্ট) উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষক শাহাদত হোসেন ওই শিশু শিক্ষার্থীর শরীরে অশ্লীলভাবে হাত দেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের না জানালেও ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে শিশুটি ঘটনার বিস্তারিত জানালে পরিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে এর বিচার দাবি করেন। পরদিন মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই শিশুটির পরিবারকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করেন। কিন্তু একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বুধবার সকালে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদত হোসেনের বদলি ও শাস্তি দাবি করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি বিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ও ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখানে উপজেলা প্রশাসনের কাছে শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাদত হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় আনা হয়েছে। শ্লীলতাহানীর অভিযোগের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
ইউএনও মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়টিতে গিয়েছিলাম। শিশুটির বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’