ঢাকার যানজট সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হলেও কার্যকর সমাধানের অভাব ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইমার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে যাতায়াতকারী ব্যক্তিবর্গ ,এই উদ্যোগ ঢাকার যানজট কমাতে ইতিবাচক ফল দিতে শুরু করেছে বলে মতামত জানান।
যাত্রাবাড়ীর উদাহরণ: ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন
সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যে যানজট প্রতিদিনের ব্যাপার ছিল, তা এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি এই শূন্যস্থান পূরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
উপদেষ্টার বক্তব্য
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইমার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার এই উদ্যোগ শুধু ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক নয়, বরং যুব সমাজের কর্মসংস্থানেও অবদান রাখছে। এই উদ্যোগ ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রা সহজ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।"
ঢাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
অনেক নাগরিক মনে করেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এই পরিবর্তন শহরের যানজট সমস্যা কমানোর পাশাপাশি তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এক বাসযাত্রী বলেন, "আগে এই এলাকায় যে অসহনীয় যানজট ছিল, এখন তা অনেকটাই কমেছে। শিক্ষার্থীদের কাজে দেখার পর আমার মনে হয়, তারা এই দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করছে।"
এখন "বাহাদুরশাহ" ই একমাত্র যাত্রীবাহী বাস, যা সদরঘাট পর্যন্ত যাতায়াত করে ।এক্ষেত্রে ছাত্র, জর্জকোর্টের কর্মজীবী থেকে শুরু করে সদরঘাটের ব্যবসায়ী পর্যন্ত অধিকাংশই নির্ভর করতে হয় এর উপর । বিগত  সময় দেখা যেত বাহাদুর শাহ ছাড়ার সময় জনগণের  তীব্র ভিড় এক্ষেত্রে ।রাস্তায় জ্যাম লাগা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার । কিন্তু "বর্তমানে বাসে উঠার জন্য যাত্রিগণ সারিবদ্ধভাবে  দাড়াতে দেখা যায়।গাড়িতে উঠার পদ্ধতি  পরিবর্তন হওয়ায় পরিবর্তন হয়ে গেছে জায়গাটির চিত্র। "
সতর্কতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
যদিও এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবুও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি, তাদের কাজের সঠিক পারিশ্রমিক নিশ্চিত করাও জরুরি।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের এই অংশগ্রহণ ঢাকাবাসীর জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে। যদি এটি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তবে এটি শহরের যানজট সমস্যা সমাধানের একটি টেকসই মডেল হয়ে উঠতে পারে।