ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে৷




স্থানীয় ও পরিবারের বরাতে জানা যায়, সকালে বিদ্যালয়ে এক্সট্টা ক্লাসের জন্য যায় সেই শিক্ষার্থী। ক্লাস শেষে তাকে বাদে বাকী সব শিক্ষার্থীকে চলে যেতে বলেন শিক্ষক মানিক। সবাই চলে গেলে রুমে দরজা বন্ধ করে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন তিনি । পরে শিক্ষক মানিক তার মোটরসাইকেল করে সেই শিক্ষার্থীকে বাড়ির পাশে রেখে আসেন৷ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে কান্নাকাটি করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।




ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকে সে এক্সট্রা ক্লাশে যায়। আজকে যাওয়ার ৩০ মিনিট পরে সে বাড়ি চলে আসে। তারপর কান্নাকাটি করে বলে, মানিক মাষ্টার তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। কেন সে আমার মেয়েটার সাথে এমন কাজ করলো,আমরা এর বিচার চাই৷




একই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নয়ন ইসলাম বলেন, মানিক স্যার এসব কাজ করার জন্যে এক্সট্রা ক্লাস করান৷ আমাদের সময়ও এক মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার জন্য ৬ মাস উনাকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল৷ আমরা শিক্ষক নামধারী এসব নরপিশাচদের বিচার চাই৷



ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা রকিবুল আলম চয়ন বলেন, এমন ঘটনায় একজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷ তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হয়েছে। বাকী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।



ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।