একসময় খুলনা নগরী ছিল শান্তিপূর্ণ যাতায়াতের নগরী কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে খুলনা সৃষ্টি হয়েছে যানজটের নগরী। পবিত্র রমজান মাসের সমাপনী এবং ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট । গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক বিভাগের ডিভাইডার দিয়ে যান চলাচলের যে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাতে ভোগান্তি বেড়েছে উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও খুলনা নগরীতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। পবিত্র রমজানে সমাপনী এবং ঈদকে সামনে রেখে নগরীর সড়কগুলোতে মানুষের চাপ বেড়েছে। অপরদিকে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তায় নামানো অগণিত ইজিবাইক ও ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বুধবার বিএনপি মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানগরীর গল্লামারী, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পাওয়ার হাউস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, হাদিস পার্ক মোড়, রয়্যাল মোড়, সাতরাস্তা, রূপসা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি যানজট লেগেই আছে। নিয়মিত নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া অবৈধ ইজিবাইকের কারণে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। খুলনা মহানগর বিএনপি'র নেতৃবৃন্দ নগরীর যানজট নিরসনে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে জনবল বৃদ্ধি ও আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ সহ আরো অনেকে সৃষ্ট এই যানজটের নিরসনের জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেছেন।