বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের সরাসরি অংশগ্রহণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রবাসীরা। অবশেষে সেই দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক অঙ্গীকার আসায়, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টারসহ বিভিন্ন শহরে উদযাপিত হয়েছে “আনন্দ সভা”।
এইসব আনন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত প্রবাসী নেতৃবৃন্দ, সংগঠক ও সমাজকর্মীরা। বক্তারা বলেন, এটি শুধুমাত্র ভোটের অধিকার অর্জনের বিষয় নয়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বীকৃতি ও সম্মানের প্রতীক।দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল
গত কয়েক দশকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ৩১টিরও বেশি প্রবাসী সংগঠন এই দাবিকে সামনে রেখে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, এবং উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির মতো নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলেই আজ এ অর্জন বাস্তবের পথে।স্মরণে গুণীজনেরা,আনন্দ সভায় গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয় এই আন্দোলনের পথিকৃৎ ও নেপথ্যের যোদ্ধাদের, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
জনাব কে এম আবু তাহের চৌধুরী,মকাব্বির খান,মোহাম্মদ ঈয়াওর উদ্দিন,সাংবাদিক রহমত আলী,মোহাম্মদ আফসার মিয়া,সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম (Mile End)কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী,অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, নুর বকশ,মো. আমিনুর চৌধুরী,মো. রেজাউল করিম মারিদা,কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ফারুক মিয়া,মুফতি সালেহ আহমেদ,এম এ আবদুর রব,আবদুল আউয়াল,তফাজ্জল হোসেন,সাইফ কাজী,আবদুল বাসার,মো. নজরুল ইসলাম,মোমেনুল ইসলাম,এবং যুক্তরাজ্যের আরও বহু অগ্রজ প্রবাসী নেতৃবৃন্দ।
ভবিষ্যতের প্রত্যাশা বক্তারা বলেন, অনলাইন বা ই-ভোটিং ব্যবস্থা দ্রুত চালু করে ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের কার্যকরভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম এক আবেগঘন বক্তব্যে বলেন,
“এই অর্জন শুধু প্রবাসীদের নয়, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রেরও বিজয়। যাঁরা বছরের পর বছর ধরে আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল আজকের এই অর্জন।”
আন্দোলনের কিছু জনপ্রিয় শ্লোগান:“ভোটের অধিকার প্রবাসীদেরও আছে!”“ভোট দিন, দাবি তুলুন — প্রবাসীদের কথাও শুনুন!”
“নির্বাচনের আগে, প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ চাই!”
“প্রবাসীদের কণ্ঠস্বরকে বাদ দেওয়া যাবে না!”
“এইবার ভোট দিতেই হবে — দেরি আর নয়!”
এই অর্জন প্রমাণ করে—ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না। এখন সময় বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার শুধু অধিকার নয়—এটি মর্যাদারও প্রতীক।