শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়ার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মতিখার কান্দি সড়কটি বর্তমানে চরম বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়ার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মতিখার কান্দি সড়কটি বর্তমানে চরম বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। পাঠানবাড়ি জামে মসজিদের পূর্ব পাশে কাঠের পুল থেকে শুরু হয়ে বন্দুকশি বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।

বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে সড়কটির বেশিরভাগ জায়গা ভেঙে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার উপর জমে থাকে পানি ও কাদা। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও রোগীবাহী যানবাহনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বহুবার এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহসিন বলেন, "আমরা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করি। বৃষ্টির সময় তো রিকশা, মোটরসাইকেল চলাও সম্ভব হয় না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে পারি না। এটা খুব কষ্টের।"

স্থানীয়দের এই দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কথা বললে প্যানেল চেয়ারম্যান সেকান্দর খান বলেন,
"আমি এলাকাবাসীর কষ্ট বুঝি। মতিখার কান্দির এই রাস্তার বিষয়টি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এনে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করতে। ইনশাআল্লাহ, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।"

এ বিষয়ে বাসিন্দা মো. আবু তাহের পাঠান বলেন,
"এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমি নিজে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করছি যাতে দ্রুত টেন্ডার হয়ে সংস্কারের কাজ শুরু হয়।"

৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন,
"আমাদের পুরো অঞ্চলের জন্য রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে যেন দ্রুত কাজ শুরু হয়, সেটি আমরা সকলে একযোগে চাচ্ছি।"

এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায়। রাস্তাটি সংস্কার হলে চাঁদপুর ও শরীয়তপুর সংযোগে থাকা এ গুরুত্বপূর্ণ পথটি আবারো সচল হয়ে উঠবে এবং হাজারো মানুষ উপকৃত হবে—এমন প্রত্যাশা এখন সবার।