কুমিল্লার দেবিদ্বারে অজ্ঞাগ নারী লাশ উদ্ধারের পরে মিলল নারীর লাশের পরিচয়।  তিনি দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের ইউছুফ আলী মুন্সী বাড়ির মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী হনুফা আক্তার। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামে অবস্থিত সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর পরিত্যক্ত বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল  হনুফার লাশ উদ্ধার করে। 


নিহত হনুফা আক্তারের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে সবাই বিবাহিত।


তার স্বামী ৮-৯ বছর আগে মারা গেছেন। গত আট দিন ধরে নিখোঁজ হানুফা আক্তার তার ছেলেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে তার খোঁজ মিলেনি।

হনুফা বেগমের আত্মীয় লিপি আক্তার বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের ছবি এবং অনলাইনে নিউজটি দেখতে পাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের পরনের কাপড় দেখে চিনতে পারি।


সঙ্গে সঙ্গে হনুফার ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই লাশটি হনুফা বেগমের।

নিহতের বড় ছেলে মোঃ জুয়েল মুন্সী (২৮) জানান, তার বাবা মারা যাওয়ার আগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তখন থেকে তার  মা-ই চাকরি করে সংসার চালাতেন । বাবা মৃত্যুর পরেও মা চাকুরি করতেন আগে মা কুমিল্লায় চাকুরি করতেন পরে চান্দিনা একটি বেকারতে কাজ করতেন ওখান থেকে  কিছুদিন আগে তার মা  ঢাকায় চাকরি নেন বলে জানান জুয়েল মুন্সি। 

জুয়েল মুন্সি বলেন, ‘গত ৪ জুলাই  ছুটিতে মা বাড়িতে আসেন। এরপর গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হন। রাতে মা পৌঁছেছে কিনা খোঁজ নিতে গিয়ে মাকে আর ফোনে পাইনি। সেই  থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। আজ মায়ের লাশে পরনের কাপড় দেখে চিনতে পেরেছি এটা আমার মা।

দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিচয় প্রথম দিকে অজ্ঞাত হলেও পরে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের মাথা, গলা ও বাম চোখের ওপর আঘাতের চিহ্ন ছিল। খুনিরা তাকে খুন করে নির্জন এলাকায় ফেলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, একটি সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, যে গ্রামে হনুফার লাশ পাওয়া গেছে, ওই গৌরসার গ্রামে তার গোপনে একটি বিয়ে হয়েছিল। আমরা তার সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধান করছি।


এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘নিহত হনুফার পরিবারের লোকদের খবর দিয়েছি। তারা এলে বিস্তারিত জানতে পারব। এরই মধ্যে সিআইডির এসআই নাজমুল হোসেন ও পিবিআই’র এসআই চন্দন কুমারের নেতৃত্বে আসা দুটি দল বিষয়টি তদন্ত করছে। আমরা খুব দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি।’