কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদ্রাসা পড়ুয়া ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ভিত্তিতে মসজিদের ইমামকে আটক করেছে দেবিদ্বার উপজেলা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের আগে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযুক্ত ইমামকে উত্তমাধ্যম গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার (১ জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় দেবিদ্বার পৌরসভার বড়আলমপুর বাইতুস সালাম জামে মসজিদের ইমামের কক্ষের ভিতরে। অভিযুক্ত ইমাম মোঃ রাশেদুল ইসলাম (৩২) ওই মসজিদের খতিব ও ইমাম এবং সে বড়আলমপুর আল হেরা আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের আরবি শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেন। তিনি উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যৌন নিপীড়নের শিকার শিশু (৮) বড় আলমপুর আলহেরা আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। সে বড় আলমপুর নানীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেন, তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামে। অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম (২৭) একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পার্শ্ববর্তী বাইতুস সালাম জামে মসজিদে ইমামতি করেন।
এর আগে সে গত শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সময় স্কুলের টিফিন চলাকালে ওই ভিক্টিম শিশু (৮) কে ডেকে নিয়ে বাইতুস সালাম মসজিদের ভিতরে তার রুমে প্রবেশ করে, একপর্যায়ে তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ও অভিযুক্ত রাশেদুল তাহার যৌনাঙ্গ শিশুটির মুখে একাধিকবার প্রবেশ করিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। ইতিপূর্বে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে। এবং এ কথা কাউকে জানালে হত্যার হুমকী দেন।
তবে অভিযুক্ত রাশেদুল আলম (২৭) দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন হাসপাতাল বেডে শোয়া অবস্থায় জানান, আমার বিরুদ্ধে এলাকার ৩০/৪০ জন লোক মিথ্যা অভিযোগ এন রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎখনিক ভাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং তাকে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।