পঞ্চগড়ে ধর্মীয় অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে চেহারার বদলে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে পরিচয় সনাক্তের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এনআইডিসহ যাবতীয় পরিচয় যাচাইয়ে ও ছবি মেলানোর মত সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে পর্দানশীল নারীরা তিন দফা দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। তিন দফা দাবি হচ্ছে: 

১. বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা।

২. পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসীর অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। সকল ক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা।

৩. পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ায় সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।

পঞ্চগড় জেলার পর্দানশীল নারী সমাজ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। ২৬ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া মহাসড়কের শেরেবাংলা পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন হুমায়ূরা আকতার, মমতাজ বেগম, মার্জিয়া আকতার, সামসুন নাহার, নুরুন নাহার ছাড়াও অনেকে তারা বলেন, পরীক্ষায় প্রক্সি বন্ধে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই বাধ্যতামুলক করতে হবে, সংবিধানের ৪১ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে পর্দা করা আমার সাংবিধানিক অধিকার আছে। পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে জমি রেজিস্ট্রি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা'র ব্যবস্থা করে দিন। আমেরিকাতেও ছবি বিহীন এনআইডি আছে অথচ আমাদের দেশে উল্টো। আমাদের দেশে ১৬ বছরের পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা স্বৈরাচারীদের বিচার চাই। তারা বলেন, আমার চেহারা আমি দেখাবো না এটা আমার প্রাইভেসির অধিকার। পরিচয় যাচাইয়ের ছবি দূর্নীতিবান্ধব আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো দূর্নীতিরোধক। তাই এটা বন্ধ করতে হবে। প্রানীর ছবি তোলা শিরক। আমাদের শিরক করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে সমাবেশে হাজির হন পর্দানশিন নারীরা। পরে তারা বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্মিলিত স্মারকলিপি জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেন৷