সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ধলাই নদীতে অবৈধ বালু রোপওয়ে বাঙ্কারে পাথর উত্তলন বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৯ জনকে শনিবার দূপুরে তাদেরকে আটক করা হয়।আটককৃতদের ২বছরে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।এসময় ২০টি বারকি নৌকা ধ্বংস ও ১৮ টি নৌকা জব্দ করে বিজিবির জিম্মায় দেওয়া হয়।
আটককৃতরা - কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীম উদ্দিন, মেঘারগাঁও গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন, দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের সনর আলীর ছেলে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কালাইরাগ গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের ছেলে ফুল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাকী গ্রামের আব্দুল রমিধের ছেলে ইকবাল মাহমুদ, মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ কিবরিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসাকরশ গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত আলী হোসেনের ছেলে আলী নূর এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে মোহাম্মদ জজ মিয়া।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) এলাকায় অবাধে পাথর লুটপাট চলছে। পাহাড়ি ঢলের সুযোগ নিয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লুটকারীদের নজর পড়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরের ওপর। বারকি নৌকা ব্যবহার করে প্রকাশ্যে পাথর লুটপাট চলছে । যার ফলে হুমকির মুখে পড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র।
এর আগে গত আট মাস ধরে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) সংরক্ষিত এলাকায় দিনে-রাতে বালু-পাথর ও মেশিনারি পার্টসের মালামাল লুটপাট চলছিল। প্রায় ৩০-৪০টি সেইভ মেশিন ব্যবহার করে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। এসব মেশিন ও নৌকা থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। পরে শনিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে এক যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানে ৯ জনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তিনি বলেন, ধলাই নদী থেকে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে শনিবার ভোর থেকে অভিযান চালানো হয়।লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।