সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া ও তীব্র ক্ষোভ।
নিহত কিশোরের নাম সাজিদ হোসেন (২২)। তিনি বাগহাটা গ্রামের আব্দুল আজিজের একমাত্র ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি আতাউরের ছেলে দুলাল ও তার সহযোগীরা সাজিদকে পাঁচদিন ধরে আটকে রেখে পৈশাচিক নির্যাতনের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সাজিদের মা মুসলেমা বেগম জানান, তাঁর ছেলেকে মুক্তির জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল দুলাল। টাকা দিতে না পারায় বাড়ির দলিল পর্যন্ত চেয়েছিল তারা। একাধিকবার ছেলেকে দেখতে চাইলেও দুলালের পরিবার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত রাতে খবর পেয়ে দুলালের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বাড়ির গেট তালাবদ্ধ। স্বজনরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকালে শেখেরচর ফাঁড়ি ও নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুলাল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিহত সাজিদকেও সে নানা প্রলোভনে ফেলে মাদকচক্রে জড়িয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গুম করার চেষ্টা হয় বলে দাবি গ্রামবাসীর।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ও অভিযুক্ত—উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই মাদকের মামলা রয়েছে। তবে এটি একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।