ফরিদপুর সদরপুর উপজেলায় নিখোঁজের চারদিন পর ভাঙ্গা উপজেলার হাসামদিয়া বিলে পাওয়া গেল শেখ রেদোয়ান (২৭) এর অর্ধগলিত লাশ। ভাঙ্গায় এক যুবকের লাশ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে সদরপুর থানায় চারদিন আগে নিখোঁজ হওয়া শেখ রেদোয়ানের পরিবার লাশ সনাক্তের জন্য ভাঙ্গা থানায় যান। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আটককৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে র্যাবের কাছে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও আলামত জব্দ করেছেন র্যাব।
আজ রবিবার (১৭ আগস্ট ) দুপুর ১২ টার দিকে ভাঙ্গা থানার তুজারপুর ইউনিয়নের চাড়ালদিয়া গ্রামে হাসামদিয়া বিলের পানিতে ভেসে থাকা একটি যুবকের অর্ধগলিত পঁচা লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক রাম প্রসাদ। উদ্ধারকৃত লাশের গলাকাটা, বুকের বাম পাশে পাঁজরের নিচে কাটা জখম ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচে কাটা জখম দেখা যায়। লাশের পেটে দুইটি জিআই তার দিয়ে দুটি মাটির বস্তা বাঁধা ছিল যেন লাশ ভেসে না উঠে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে নিহত রেদোয়ানের পরিবার লাশ শনাক্তের দাবি করলেও পুলিশ অধিকতর তদন্ত ও রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপর ছিল।
নিহত রেদোয়ানের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট বিকেল ৫ টার সময় একটি জিক্সার মোটর সাইকেল ও একটি আইফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রেদোয়ান। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাত দুইটার দিকে রেদোয়ানের মা রাবেয়া বেগম সদরপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করে যার নম্বর ৫৪৯। নিখোঁজ রেদোয়ান সদরপুর উপজেলার সাড়ে সাতরশি গ্রামের শেখ আবুবকর সোহেলের ছেলে। সে গাজীপুরে একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি বিভাগের ছাত্র।
সদরপুরে নিখোঁজ যুবক ও ভাঙ্গা থানায় উদ্ধারকৃত যুবকের লাশ একই ব্যক্তি কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর থানার অফিসার্স ইন চার্জ সুকদেব রায় বলেন, ভাঙ্গা থানায় লাশ সনাক্তের পর বলা যাবে ।
এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গা থানার অফিসার্স ইন চার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।