সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার)-এ দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে গত ১২ আগস্ট ২০২৫ (মঙ্গলবার) এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ইসমত জেরিন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মামুন উর রশীদ রেজিস্ট্রার রুহুল আমিন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেলোয়ার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মমিন শিকদার ছাড়া, সহকারী অধ্যাপক মোহসিন উল হক, নাজিম উদ্দীন, মোঃ আবুল হাসান শিবলী, ইন্দ্রজিৎ কুমার পাল, ইলেকট্রিশিয়ান মাহবুবুর রহমান, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট আমানউল্লাহ, ক্লিনার মাকসুদুর রহমান

তবে অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী (রেজিস্ট্রার শাখা) মোঃ আশরাফ আলী অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সতর্কবার্তা দিয়ে পুনরায় কাজে যোগদানের অনুমতি পেয়েছেন, যদিও তদন্তে তার অভিযুক্তদের সঙ্গে বিশেষ যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে।

২০২৪ সালের আগস্টের শেষ দিকে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে প্রভাতে অভিযুক্তদের একাংশ গেট ভেঙে পালিয়ে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এরপর প্রায় এক মাস ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করলেও তৎকালীন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের ডিনের সঙ্গে আলোচনার আগে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পরবর্তীতে বিটিএমএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে ধীরে ধীরে ক্লাস কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।

ঘটনার পর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের স্বার্থে নিটারের কনফারেন্স রুমে দুই দফায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কার ও অব্যাহতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আংশিক সন্তুষ্টি আনলেও আন্দোলনের সময়কার অন্যান্য দাবির অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা রয়ে গেছে। এছাড়া তদন্তকালীন সময়ে অভিযুক্তদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান করায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেছে।