ঢাকা চট্টগ্রাম সোনারগাঁয়ে চারলেন মহাসড়ক এখন অবৈধ যানবাহনের অভয়ারণ্য। কাগজে-কলমে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, কিন্তু বাস্তবে সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন, করিমন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।

দ্রুতগতির বাস-ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা এসব দুর্বল যান প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণ। দীর্ঘ করছে দুর্ঘটনার তালিকা। অবৈধ জান বাহন হলেও চলছে উল্টো পথে দ্রুত গতিতে। যেন মহাসড়ক তাদের জন্যই বিনির্মাণ। দিচ্ছে মাসিক নাজরানা চলছে অবিরাম। হাইওয়ে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে চলছে এই থ্রি হুইলার। বলার কোনো সুযোগ নাই কারণ মাস শেষে মিলছে সন্তুষ্টমূলক নাজরানা। 

পুলিশ বলছে, মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের চলাচল নেই। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো! মেঘনা সেতু থেকে ঢাকা মুখি এবং কাচপুর ব্রিজ থেকে মোগরাপাড়া চার লেনে চলছে উল্টো পথে তাও আবার পুলিশের সামনে দিয়ে। দেখা যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে থ্রি হুইলারের লাইন মেন্টেন করছেন। এ সকল সম্ভব শুধু মাস শেষে প্রত্যাশিত নাজরানার মূল্যে। 

মজার বিষয় হল মোগরাপাড়া ঢাকামুখি কলাপাতা রেস্টুরেন্টের সামনে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের জন্য স্ট্যান্ড করা হয়েছে, সেখানে আবার সভাপতি সেক্রেটারি মাধ্যমে কমিটি ও গঠন করা হয়েছে। সিএনজি চালকরা বলেন, স্ট্যান্ডের জন্য মাসে খরচ দিতে হয়, দিতে হয় মাস শেষে পুলিশকে মানতি, তারপরেও আমরা ভালো আছি, যদিও মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সাথে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। 

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অভিযোগ রয়েছে, এসব থানা ও ক্যাম্পে দায়িত্বরত কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে অবৈধ এসব যানবাহনকে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। এ কারণে গোপনে নয়, বরং প্রকাশ্যে দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে তারা।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, মহাসড়কে তিন চাকা চলার কোন অনুমোদন নাই। আমাদের অনুপস্থিতিতে তারা চলে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মহাসড়ক থেকে নেমে যায়। তিন চাকা মান্তি দিয়ে মহাসড়কে চলে এমন প্রমাণ যদি থাকে আপনারা নিউজ করে দেন।