পঞ্চগড় জেলা সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের কমলাপুর বাজার থেকে লাঙ্গলগাঁও পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজারও নারী, পুরুষ ও শিশু।

রোববার সকালে চলাচলের অনুপযোগি ওই সড়কের দুইপাশে দাড়িয়ে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী ও মাবনববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। তাদের দাবি অনুযায়ী কাজ শুরু করা না হলে আগামী এক সপ্তাহ পর সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, কমলাপুর বাজার থেকে লাঙ্গলগাঁও পর্যন্ত ৩.২৫ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা হলেও যানবাহন চলাচলে কোন সমস্যা হত না। এই সড়কটির দু’পাশে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আটটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সড়কটি ব্যববহার করত। লাঙ্গলগাঁও স্কুলের পাশে কাজী ফার্মস লিমিটেডের কাজী ঢেমশীমারী মুরগির খামার করার পর তাদের প্রতিদিন ২০-৩০টি ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা মানুষ চলাচলেরও অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিত কাজী ফার্মস কর্তৃপক্ষ সড়কের খানা খন্দকে ইটের খোয়া ফেলে। এতে করে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। সেই সাথে মুরগির খামারের লিটার বা বিষ্ঠা এই সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে বিকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় কমলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাবলী আক্তার জানায়, আমাদের এই সড়কটি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। সড়কটির এমন অবস্থা যে, সামান্য বৃষ্টি হলে আমরা আর স্কুলে যেতে পারিনা। শুকনো মৌসূমেও সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যায়না।
পঞ্চগড় জেলা রিকসা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম বলেন, কয়েকটি গ্রামের চলাচলের জন্য এটি একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও ছোট-বড় যানবাহন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘ কয়েক যুগেও এই রাস্তা সংস্কার অথবা পাঁকা করার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বার বার লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। আশপাশের সকল সড়ক পাকা করা হলেও এই সড়কটির কোন সংস্কার কাজই করা হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটি সংস্কার অথবা পাকা করার উদ্যোগ নেয়া না হলে কমলাপুর বাজার এলাকায় পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
কমলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই সড়কটি ব্যবহার করে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। শুকনো মৌসূমে ধুলা আর বর্ষায় সড়কের পানি জমে থাকায় অনেক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে আসতে পারে না। আর যারা আসে তারাও সময়মত আসতে পারে না। তিনি অবিলম্বে সড়কটি পাকাকরণ কাজ শুরু করার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র সদর উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৩১৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণে ডিপিপিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে এই সড়কটিও রয়েছে। ডিপিপিতে অন্তভর্‚ক্ত হলে যথাদ্রæত সম্ভব এই সড়কের কাজ শুরু করা যাবে। #