পঞ্চগড়ে পদক প্রাপ্ত চা চাষী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্য বাঙ্কার খুঁড়ে ওৎ পেতে থাকেন দূর্বৃত্তরা। চা কারখানা করতে গেলে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

টাকা না পেয়ে কারখানার জমি দখলে নিয়ে সেখানে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অবস্থান করছে। নিরাপত্তাহীনতায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভূক্তভোগী। রোববার দুপুরে স্মল টি গার্ডেন অনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র হলরুমে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের ব্যানারে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য এবিএম আখতারুজ্জামান শাহজাহান।
তিনি অভিযোগ করে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি ঢাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে খোলস পাল্টেছে সে। বর্তমানে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হালুয়া পাড়া এলাকায় আমাদের পৈতৃক জমিজমা দখল করে রেখেছে। আমরা চা কারখানা করতে গেলে সে আমাদের কাছে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এখন সে জমি দখলে নিয়ে সেখানে বাঙ্কার খনন করেছে। সেখানে নানা রকম অস্ত্র নিয়ে বসে আছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে। বর্তমানে এলাকায় গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি চলতি মৌসুমে স্বর্ণ পদক পেয়েছি দেশ সেরা চা চাষী হিসেবে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনকে জানিয়েছি এর প্রতিকার চেয়েছি। একই সাথে জাহাঙ্গীর ও তার দোসরদের শাস্তির দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানলাম জমি দখলকারী, দাঙ্গাবাজ, মামলাবাজ জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার উপর মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা নাকি আমাদের কাছে জমি পাবে। যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা তাদের কাছে জমি পাবো। তারা জমি না দিতে এখন এসব পায়তারা শুরু করেছে। আমরা তাকে হত্যা করতে যাবো কেন। তারাই তো বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী এনে আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা কোন বিচার পাচ্ছিনা।