পঞ্চগড়ে গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবছরও লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। কিন্তু বীজ আলু ও সার বেশি দামে ক্রয়,কুয়াশায় অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে বাড়তি খরচ এদিকে বাজারে আলুর দাম কমে আসায় লোকসানের শঙ্কায় আলু চাষীরা। আলু আমদানি বন্ধ ও সরকারিভাবে আলু ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তাদের।
স্থানীয় আলু চাষীরা জানান,গত মৌসুমে আলু চাষে বেশি লাভবান হওয়ায়,এবার আলু চাষের দিকে কৃষক বেশি ঝুঁকেছেন।গতবারে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে এবারে তার চেয়ে অনেক বেশি আলু উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু গত বছর আলুর দাম পেলেও এবারে আলুর দাম আমাদের কপালে হাত ঠেকিয়েছে।সামনের দিনগুলো আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলেও জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার মোট আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমি।আলু চাষ হয়েছে ১৪ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমি।গত বছর আলু আবাদ হয়েছিল ৯ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমি। লক্ষীরহাট এলাকার চাষী রুবেল হোসেন বলেন, গতবছর আলু চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি। এবার আরো দুই বিঘা জমিতে আলু রোপন করেছি।আশা করছি ভালো ফলন পাবো।কুয়াশা আর ঠান্ডা বেশি হলে আলু ক্ষেতে রোগবালাই ধরে আলুর কাঙ্খিত উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে। ভাউলা পাড়া গ্রামের সাদেকুল বলেন,আমি গত বছর ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। এবার ১৪ বিঘা আলুর চাষ করেছি।আলুর ভালো ফলনের আশা করছি।গত বছরের মত আলুর ফলন ও দাম ভালো পেলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। ফুটকিবাড়ি এলাকার জহিরুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমে প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিল ২৫-২৮ টাকা দরে। বর্তমানে আলুর জাত ভেদে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮-২৫ টাকায়। কিন্তু এ এলাকায় আলু বাজারে আসতে আরো এক থেকে দেড়মাস সময় লাগবে।ফলে আরো দাম কম হলে লোকসানে পড়ব। কারণ এবার বীজের বেশি দাম হওয়ায় বিঘায় খরচ পড়বে ৪০-৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আলু উৎপাদন হবে ৮০-১০০ মন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,পঞ্চগড়ের উপ-পরিচালক মো.আব্দুল মতিন বলেন,গত কয়েক বছরে কৃষক আলুর দাম বেশি পেয়েছে। তাই তারা আলু চাষে বেশি আগ্রহী। তবে উৎপাদনে ঘাটতি না হলে লোকসানের সম্ভবনা নাই।