পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন, একাধিক বিয়ে ও অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ড. রমন কুমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।

তার স্ত্রী শ্রাবন্তী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, “২০১১ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি গোপনে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে আরও দুটি বিয়ে করেন এবং ছাত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে মারধর করে আহত করেছেন। বর্তমানে তিনি আমাদের তিন সন্তান এবং আমাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছেন।”
শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার সন্তানদের ভরণপোষণ ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আমরা আশা করি না। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।”
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. রমন কুমার বিশ্বাস বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “প্রথম স্ত্রী বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে কর্তৃপক্ষ বিধিসম্মত উপায়ে সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।”
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।”
পরিবেশ বজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেন খান বলেন, “আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।”