পাবনার বেড়ার চাকলা(ইউপি)র তারাপুরে মিলাদ কিয়াম পড়া নিয়ে মসজিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০ নিহত ১ ।
পাবনার বেড়া উপজেলা চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ এর তারাপুর গ্রামে মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে একই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তস্থ৩৫-৪০ জন আহত ও ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরু তোর বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তারাপুর গ্রামে দুটি মসজিদ আছে একটি পুরনো ও আরেকটি নতুন দুটি মসজিদের অবস্থান কাছাকাছি ,কয়েক বছর আগে পুরোনো মসজিদে নামাজ পরবর্তী মিলাদ মাহফিলের কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা বাধে ,মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার আব্দুল মতিন সহ একটি পক্ষ সেই সময় মসজিদের সামান্য দূরে নতুন মসজিদ নির্মাণ করে। সম্প্রতি সময়ে সেই নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলে অন্য পক্ষ আপত্তি তোলে (২৫ জুলাই) সকাল দশটার দিকে বারান্দা নির্মাণের কাজ শুরু করেন নতুন মসজিদের পক্ষের লোকজন একই গ্রামের কাছাকাছি দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি আরেকটি পক্ষ একপর্যায়ে বারান্দা নির্মাণের ঐ পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এতটু পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়, প্রায় ১৫০ জন থেকে ২০০ জন এ সংঘর্ষে জড়ীয়ে পরেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। আহত ব্যক্তিদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হয় ,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার তহমিনা সুলতানা নীলা বলেন ৩০ জনের মত এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫-৬ জনকে বগুড়া ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওলিউর রহমান বলেন মিলাদ কিয়াম পড়া সহ আরো কিছু ব্যাপার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুই পক্ষের বিরোধ ছিল এদিকে আজ ২৬ শে জুলাই( মোহাম্মদ হাদিস ৪০)চিকিৎসাদীন অবস্থায় মারা গেছে শনিবার ২৬ শে জুলাই বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছার পর ফের ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। দুপুরের দিকে উপজেলা চাকলা ইউনিয়নরে তারাপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ অন্তত ১৫ থেকে ২০ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ঘটনা ঘটে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে( হাদিস ৪০ )নতুন মসজিদের পক্ষে সমর্থক ছিলেন তার মৃত্যুর পর উত্তেজিত লোকজন প্রতিপক্ষের পুরনো মসজিদের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালান খবর পেয়ে বেড়া মডেল থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনা ঘটার সময় অনেকবার পাবনার বেড়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে অনেকবার মুঠো ফোনে কল দিও তাদের পাওয়া যায়নি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওলিউর রহমান বলেন গতকালকের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যুর পর গ্রামে ফের সহিংসতারায় অন্তত ১৫টি বাড়িতে আগুন দিয়ে দিয়েছে। আমি নিজে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি বিকেলে ৪ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এখন যৌথ বাহিনীর অভিযানে অছেন।