পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালি ইউনিয়নে এক সনাতনী স্বর্ণকার পরিবারের সদস্য নেপাল মজুমদারকে মারধর ও ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল, ৫ আগস্ট এর পট পরিবর্তনের পর বর্তমানে তারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং- ১৬,তারিখ ২৭/৬/২০২৫ইং, ইতোমধ্যে পুলিশ দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আসামিরা হলো যথাক্রমে (১)হানিফ শেখ (৩০), পিতা- হালিম শেখ, সাং- পুখুরিয়া, (২)শাওন খান (৩১), পিতা- দেলোয়ার খান, সাং- উদয়কাঠি, কলাখালি, পিরোজপুর সদর। থানা পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নামে মাদক ইয়াবা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী নেপাল মজুমদার(পেশায় স্বর্ণকার) অভিযোগ করেন যে, ইং-২৬-০৬-২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর অনুমান ০১:০০ ঘটিকা বিবাদী সাব্বির অন্যান্যরা আমার দোকানে আসিয়া জোরপূর্ব ভয় ভীতি দেখাইয়া আমাকে মটরসাইকেলে তুলে পিরোজপুর থানাধীন গজালিয়া সাকিনে জনৈক মান্নু খান এর বাড়ীর সামনে মাঠের পাশে বাগান বাড়ীর ভিতর আটাইয়া রাখে। বিবাদী শাওন আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া এলোপাথারী কিল ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। বিবাদী হানিফ এর হাতে থাকা হাতুরী দিয়া এলোপাথারী আঘাত করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। বিবাদী হানিফ এর হাতে মোবাইল দিয়া বিবাদীরা আমাকে মারধর করা ভিডিও সহ বিভিন্ন অপত্তিকর ভিডিও ধারন করে। বিবাদীরা আমাকে আটাকাইয়া রাখিয়া আমার বাড়ী হতে আমার মেয়ে তমা মজুমদার এর নিকট হইতে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেয় এবং স্ত্রী অপর্না মজুমদার এর নিকট হইতে বিবাদী সজিব তালুকাদার জোর করে ও ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার কৃষি ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে নেয়। আমাকে জিম্মি রাখা অবস্থায় বিবাদীরা আমার নিকট হতে জোর পূর্বক ফাকা সাদা স্ট্যাম্প পেপার ও ব্ল্যাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর নেয়। বিবাদীরা আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, আমি উক্ত বিবাদীদের চাঁদার টাকা না দিলে বিবাদীরা আমাকেএবং পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে খুন করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। বিবাদীরা আমাকে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আটকাইয়া রাখিয়া আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে ছেড়ে দেয়।নেপাল মজুমদার আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছে। এই হামলার ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার ভীত হয়ে খুলনায় আত্মগোপনে চলে গেছেন। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অপু দাস জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং অন্যান্য আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।