গত ১১ই জুন ভোর ৫ ঘটিকায় আকাশ দেবনাথ ঢাকা যাইবার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহের তারাকান্দা হইতে হালুয়াঘাটের শ্যামলী বাংলা ১২-৩৭৫৬ নং গাড়িতে উঠে। উঠার পর গাড়িতে সিট না থাকায় বাসের স্টাফদের গালাগালি শুরু করে। তখন বাসের স্টাফেরা খুব বিনীতভাবে তাকে অনুরোধ করলে সে গোয়েন্দা সংস্থা ও পিবিআই, ডিবির বিভিন্ন হুমকি দামকি দিতে থাকে। তখন বাসের হেলপার আজিজুলকে কনস্টেবল লাথি দিয়ে গুরুতর জখম করে। এই উগ্র আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার দেখে  বাসের সবাই তাকে নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। তখন আকাশ দেবনাথকে গাড়ি থেকে নামতে বললে সে নামার সময় চোট খেয়ে মাটিতে পড়ে আহত হয়। জানা যায় কং/১২০৬ আকাশ দেবনাথ, বিপি নং ৯৩১৩১৬০৮৬২, তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলায় পিবিআই-তে কর্মরত আছেন।
তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নিখিল দেবনাথের ছেলে। ঘটনার একই দিনে সন্ধ্যায় যখন গাড়ি হালুয়াঘাট টার্মিনালে ফেরত আসে তার কিচ্ছুক্ষণ পরেই হালুয়াঘাট থানা পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। হালুয়াঘাট থানা পুলিশ ড্রাইভার এর থেকে নাম্বার নিয়ে গাড়ির গেইটমেনকে গাড়ি নিয়ে থানায় যেতে বলে ও থানায় গেলে তাকেও আটক করে। কিছুক্ষন পর গাড়ির সুপারভাইজার মাহফুজকে হালুয়াঘাট থানা থেকে ফোন করে বলে তোমার কাছে তোমার স্টাফ আজিজুলের ছবি আছে ফোনে? থাকলে ছবিটা নিয়া থানায় আসো। তখন অত্র বাসের সুপারভাইজার সরল বিশ্বাসে তার ছবি নিয়ে থানায় গেলে তাকেও আটক করা হয়। তবে ঘটনা যাকে নিয়ে সেই স্টাফ আজিজুল পলাতক ছিল এবং আছে। তারপরই শুরু হয় কনস্টেবল আকাশ দেবনাথের লোমহর্ষক নির্যাতন। আকাশ দেবনাথ খুব তীক্ষ্ণ মেধা খাটিয়ে হালুয়াঘাট থানা থেকে তাদের ময়মনসিংহ নিয়ে যায় ও শুধুমাত্র সুপারভাইজার মাহফুজকে পুলিশের সদস্যদের দিয়ে থানা বাইরে মেরে পুরা শরীর রক্তাক্ত করে ফেলে। পরিবহন শ্রমিক মাহফুজ কোন অপরাধ না করেও নির্যাতন সহ্য করেছে কারন তার পরিবারে সেই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তারপর তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আকাশ দেবনাথ দাড়িয়ে থেকে তার মাইর দেখতে চাওয়ায় তার সামনে আবারও লাঠি দিয়ে জখমী শরীরে পিটায় মাহফুজকে যাহা কোতোয়ালি থানার সিসিটিভি ফ্রুটেজ চেক করিলে সকল সত্যতা বেরিয়ে আসবে। 
পরদিন সকালে যখন মাহফুজের কাকা ও বড় বোন দেখতে যায় কোতোয়ালি থানা ময়মনসিংহে মাহফুজকে তখন তারা দেখতে পায় মাহফুজকে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখেছে। জামাকাপড়গুলি রক্তে ভেজা!
এত ভয়াবহ নি:সংস্র নির্যাতন করার পর যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন মাহফুজের বোন জামাই কোতোয়ালি থানার ওসির সাথে ফোনে কথা বললে ওসি মাহফুজকে দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আর এজাহারে উল্লেখ করে তাকে গ্রেফতারের সময় সে আহত হয়, অথচ মাহফুজকে তারা গ্রেফতারই করে নাই। মাহফুজ ফোন পেয়ে থানায় গিয়েছিল নিজ ইচ্ছায়। 
মাহফুজের বোন জামাই ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি কোতোয়ালি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেন ও তাদের পরামর্শেই মামলার এজাহার তৈরি করা হয়।
হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন আমাকে কোতোয়ালি থানা থেকে ফোন করে তাদের গ্রেফতার  করে পাঠানোর কথা বললে আমি তাদের কৌশলে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় প্রেরন করে দেই। 
কোতোয়ালি থানার ওসি বলেন আমাকে ডি আই জি তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তাই হালুয়াঘাট থানার সহযোগিতায় আমি তাদের গ্রেফতার করাই। মাইরের বিষয় তিনি বলেন হয়ত থানার বাইরে কিছু হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি থানার ভিতরের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু সিসিটিভি ফ্রুটেজ চেক করলে বের হবে আসল তথ্য। হালুয়াঘাটের সিসিটিভি চেক করলে দেখা যাবে তাকে কি অবস্থায় নিয়ে গেছে ও কোতোয়ালি থানা থেকে কি অবস্থায় বের করেছে। 
পরিবহন শ্রমিক মাহফুজকে আদালতে নেওয়ার সময় আকাশ দেবনাথ বলেছে সে যদি আদালতে এইগুলা স্বীকার করে তাহলে জামিনে মুক্তি পেলে জেলখানার গেইট থেকে আবার উঠিয়ে নিয়ে জানে মেরে ফেলবে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানতে চায় এই দেশের একজন আইনের সদস্য বিনা অপরাধে কিভাবে নিরপরাধ মানুষকে এত নির্যাতন করল? এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী তাদের।