"তিনি (হাসনাত আব্দুল্লাহ) যদি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তাহলে দেবিদ্বার উপজেলা তার কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম মেনে নেওয়া হবে না।"
কুমিল্লা জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)-র মুখপাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহর সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা গুলো বলছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সী।
কুমিল্লার অনেক উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে এমন একটি মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পাঠি (এনসিপি-র দক্ষিণ অঞ্চলের মুখপাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহর সাম্প্রতিকালে এমন বক্তব্যকে কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে হাসনাতের নিজ এলাকার দেবিদ্বার উপজেলার বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠন। কুমিল্লা- ৪ দেবিদ্বারের চার বারের সাবেক সংসদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর নির্দেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন তার ছেলে কুমিল্লা জেলা উত্তর বিএনপির সিনিয়র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সী, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার ২০ মে বিকাল সাড়ে ৪ টায় তার নিজ বাসভবন গুনাইঘর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পৌরসভার প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ শেষে কুমিল্লা- সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার নিউমার্কেট মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে এসে সমাবেশ ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশটি দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও আজ আকাশে দুপুর থেকে মুষলধারে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়। পরে তা কিছুটা সৃত্মিশীল হলে বৃষ্টি অপেক্ষা করে হাজারও মানুষ এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করেন। এ সময় ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সী,
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, "হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, কুমিল্লার বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে এটি মিথ্যাচার, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও বিভ্রান্তিকর। আমরা এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্যকে মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করি।"
সেলিম ভূঁইয়া বক্তব্য কে সমর্থন জানিয়ে, হাসনাত আব্দুল্লাহ কে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী করেন, তিনি বলেন- হাসনাত দেবিদ্বারের মাটি বিএনপির ঘাটি, দেবিদ্বারের মাটি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর ঘাটি, ডিনি সাত দিনের আলটিমেটামকে সমর্থন করে ক্ষমা চাওয়ার দাবী করেন। সেলিম ভূঁইয়া আরোও বলেন, "কুমিল্লা বিএনপি অতীতে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এখানকার নেতারা দলে নীতি নির্ধারণী পর্যায়েও অবদান রাখেন।
এ সমম আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার উত্তর বিএনপির মহিলা সভাপতি সুফিয়া বেগম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজুদ্দিন চেয়ারম্যান (সাজু)। পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুলতান কবীর আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নজরুল ইসলাম, উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুকবল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সাইফুলসহ উজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
এর আগে (১৯ মে সোমবার বিকেলে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির বিভাগীয়
নেতারা তার বক্তব্যকে শিশুসুলভ্য রাজনৈতিক অপরিপক্কতার বহিঃপ্রকাশ বলেন এবং সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতার বলেন অনতিবিলম্বে হাসনাত কে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।