ভাঙ্গা  উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ঘোষ গ্রামে দীর্ঘদিনের  চলাচলের রাস্তা রাতের কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এতে করে দুর্ভোগে দুইশত পরিবার। স্থানীয়  সূত্রে জানা যায়, ঘোষ গ্রামের দুইশত পরিবার এই রাস্তা দিয়ে চলা চলাফেরা করে,সেই রাস্তাটি হিংসাত্মক মনোভাবের কারণে  স্থানীয় শিক্ষিকা চায়না বেগম মাটি কেটে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে ।প্রায় ৭ বছর আগে তার নিজের জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি যায়, সেই সময় রাস্তার বিষয়ে বাধা প্রদান না করে। এখন কেন এই রাস্তাটির মাটি কেটে গর্ত করে চলাচলের অযোগ্য করে ফেলে,  রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়, অটো ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে যায়। রাস্তা কেটে ফেলার কারণে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। 

এ বিষয়ে শিক্ষিকা চায়না বেগম জানান, এটা কোন রাস্তা না ,পুকুরের পাড়ি।আমাদের  মাটি সরানোর দরকার  এজন্য আমি মাটি সরিয়ে ফেলেছি। এই রাস্তা বাদেও আরো দশ ফূট আমাদের জায়গা পুকুরের ভিতরে আছে। তিনি আরও বলেন,এই রাস্তা কাটার সময় আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনদেরকে মাইরধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ভাঙ্গা উপজেলা ইউএনও অফিসে অভিযোগ জানিয়েছে।

গ্রামের ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান,বিভিন্ন মালামাল কাঁধে করে বহন করতে হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মিশকাতুল জান্নাত রাবেয়া জানান, একপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে