সরকারি চাকুরীতে কোটাসংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে লেজ গুটিয়ে স্বৈরাচার খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে জামালপুর জেলা বকশীগঞ্জ উপজেলার ১ নং ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর উওর ধানুয়া ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মাদক সম্রাট আব্দুল মালেক ওরফে (জোগার) ছোট ছেলে মাদক চোরা চালান বর্ডার ক্রস জন্ম থেকেই হয়ে উঠে ছেলে খেলা।দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় স্বর্ণ চোরাকারবারি, মাদক, হুন্ডি, নারী পাচারকারীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জড়িত এই সোহান। আগের রাজনৈতিক প্রভাব-দৌরাত্ম্য এখনো বহাল। যা এলাকাবাসীর কাছে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
প্রায় প্রতিদিনই প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর ও গণহত্যা মামলার আসামিরা। হঠাৎ কোন সাহসে গ্রেফতার ও ভয়ভীতির উর্ধ্বে এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় জনমনে এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। একদিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন অপরদিকে তাদের এমন রাজনৈতিক প্রভাব এ সব নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন গত ১৫ বছর খুনি হাসিনা এ দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার কেঁড়ে নিয়ে দেশটাকে নড়কে পরিনত করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। অনেকে বলছে ছাত্র- জনতার রক্তে অর্জিত এ সফলতা কিছু অতিলোভী রাজনৈতিক নেতার কারণে আজ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তারা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
গত কয়েকদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখা যায়, তার আপন বৈমাত্রিয় বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আওয়ামী নেতা সোহানের এমন অপকর্মের কথা ফেসবুকে প্রকাশ করেন তা নিয়ে জনমনে উচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ করেছেন ছোট ভাইয়ের এমন কুকর্মের কথা। সোহানা রহমান ওরফে সোহান জন্মসূত্রে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। জাহিদ হাসান আরো বলেন, সে এলাকায় একজন সুদ ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে চৌড়া সুদে টাকা নিয়ে এলাকার অনেক মানুষের নাজেহাল অবস্থা। সুদের টাকা না দিতে পারলে তাদেরকে আওয়ামী সরকারের রাজনীতিক প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জিম্মি করে রাখত। কখনো ভয় দেখাতো মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার। গত ১৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনামলে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিলো না। মানুষের অধিকার কেঁড়ে নেওয়া স্বৈরাচারের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে কি ভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায়। তাই এলাকাবাসীর দাবি এই অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন।