এই সময়ে প্রশাসনকে নিজের মতো ব্যবহার করেছিলেন শেখ হাসিনা। এমনকি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কিছু ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই হারানো ক্ষমতা আবার ফিরছে সেনাবাহিনীর হাতে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী কেবল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই নয়, অন্যান্য বাহিনীর মতো পূর্ণ ক্ষমতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধনীর মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে সরাসরি নির্বাচনী দায়িত্বে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হবে প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরে। এতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির ওপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী।
জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান এল মাসুদ বলেন, এতদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিজিবি থাকলেও এবার সেনাবাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম জানান, আরপিও সংশোধন করা হলে আর সরকারের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। নির্বাচন কমিশন সরাসরি সেনা সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেনা সদস্যদের কাজে লাগাতে পারবে। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাব থাকে না, তাই তাদের অন্তর্ভুক্তি ইতিবাচক হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনী পূর্ণ ক্ষমতায় মাঠে থাকলে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আস্থা ফিরে আসবে ভোটারদের মনে।