রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজে বর্নাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের দুই কালজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উৎসব

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজে বর্নাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের দুই কালজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উৎসব।

রবিবার (২৫ মে) কবি নজরুল সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয় এই বর্ণাঢ্য উৎসব। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে বাংলা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। 

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ হায়দার মিঞা এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মিলকী আমাতুল মুগনী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বের ফাঁকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নুরুন নাহার কবি নজরুলকে স্মরণ করে নজরুলের 'সাম্যবাদী' কবিতা আবৃত্তি করেন। 
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিয়ে আয়োজিত আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলা সাহিত্যের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান পছন্দ করে না এমন মানুষ বোধহয় খুবই কম। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা। বাল্যকালেই তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ শুরু হয় যা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলা সাহিত্যে ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি। আজ কবির জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা । কবির গান ও কবিতা আমাদের বিভিন্ন আন্দোলনে প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত সব গান এবং গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।