বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসনের সংখ্যা ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টি করার সিদ্ধান্তে জেলাবাসীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক এই সীমানা পুনর্নির্ধারণে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও নাগরিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


বাগেরহাট একটি প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও জনবহুল জেলা। জেলার ছয়টি উপজেলা—বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ—সহ বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি সংসদীয় আসন কার্যকর ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তা কমিয়ে ৩টি করায় জেলার উন্নয়ন, জনসেবা এবং প্রতিনিধিত্বে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষ করে মোল্লাহাট উপজেলার নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সুর বেশি স্পষ্ট। তারা বলছেন, এই উপজেলাটি ভৌগোলিকভাবে অবহেলিত ও যোগাযোগব্যবস্থার দিক থেকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ। সংসদীয় আসন কমিয়ে দিলে এখানকার মানুষের ন্যায্য উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্ব আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনবিচ্ছিন্ন। তারা অভিযোগ করেন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও প্রশাসনিক গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে বাগেরহাটের ৪টি আসন অপ্রয়োজনীয় ছিল না বরং তা ছিল সময়োপযোগী। একজন ভোটার বলেন, "এটি আমাদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করে, উন্নয়ন কার্যক্রমকে কেন্দ্রভিত্তিক করে তুলবে।"

ইতোমধ্যে মোল্লাহাটসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন বাগেরহাটবাসী। জেলার নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন—এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে পূর্বের ৪টি আসন বহাল রাখার জন্য।

এ বিষয়ে এখনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।