কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। 'বিসমিল্লাহ পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিড' নামে উপজেলার হিলচিয়া বাজারে রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত ২৭ জুলাই শনিবার কাউছার আহাম্মেদ নামে এক ব্যক্তি চুরির কান্ড নিয়ে ফেসবুকে করেন লাইভ প্রচার।

 এতে দেখা যায় ফুল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে করছে জিজ্ঞাসাবাদ। ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল নেতা হামিদুল হকের ভাতিজা চুরি কান্ডে যুক্ত আছে কি না এমনটাই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে অভিযুক্ত ফুল মিয়াকে। হামিদুল হকের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদকারী বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল যুগ্ম আহ্বায়ক কাউছার 'নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করছে প্রায় প্রশ্নের উত্তর সে নিজেই দিয়ে দিচ্ছে, আমার ভাতিজার নাম ফুল মিয়া বলে নাই সেটাও কাউছার আগে আগেই বলেই বলে দিচ্ছে।'
এভাবেই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাউছারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন যুবদল নেতা হামিদুল হক।
২৯ জুলাই বিকেলে উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনটি।
হামিদুল হকের অভিযোগ, 'আমার ভাতিজা যদি জড়িত থাকতো তাহলে ফুল মিয়ার সাথে তারও থাকার কথা ছিল এবং তাকেও সেখানে আটক করার কথা কিন্তু এ ধরনের কোন প্রমান তাদের কাছে নেই এবং ফুল মিয়া বললেও সে কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করার কোন এখতিয়ার তার নেই।'
চুরিকান্ডে অভিযুক্ত ফুল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি
স্বীকার করেন তাকে কাউছার পিটিয়ে জোর করে চুরিকান্ডে হামিদুল হকের ভাতিজার যুক্ত থাকার মিথ্যা বক্তব্য আদায় করে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনী প্রক্রিয়ায় কাউছার ও তার সাথে জড়িত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন হামিদুল হক।
কাউছার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলেন যুবদল নেতা হামিদুল হক।
হামিদুল হকের দাবি, তার বিরুদ্ধে কাউছার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি এই অপপ্রচার এর নিন্দা জানান এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু করা হলে আইনি ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।

তিনি আরো বলেন এই সংবাদ সম্মেলন এর পরে আমার কি হবে আমি জানি না,আমার জীবনের নিরাপত্তা আমি শংকিত যে কোন সময় আমার উপর হামলা হতে পারে, আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাই।