হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আলোচিত ৯ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদকে গ্রেফতারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই নাটকীয়ভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কাগাপাশা ইউনিয়নের বাতাকান্দী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বানিয়াচং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এরপরই ঘটে অবিশ্বাস্য কাণ্ড—নৌকাযোগে থানায় নেওয়ার সময় নিজ বাড়ির সামনেই নৌকা থেকে হাতকড়াসহ লাফিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ।

একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের এমন অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলা প্রশ্নবিদ্ধ। একজন আসামি কীভাবে পুলিশের চোখের সামনে হাতকড়াসহ পালিয়ে যেতে পারেন? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা কি এই ঘটনার পেছনে কাজ করেছে?

ঘটনার পর বানিয়াচং থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে কয়েকটি গ্রাম ঘেরাও করে অভিযান চালালেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত তাকে আটক করতে ব্যর্থ হয়।

এদিকে, ঘটনাটি নিয়ে বানিয়াচং থানার ওসি গোলাম মোস্তাফা এবং তদন্ত ওসি হুমায়ুন কবিরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় শুধু সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়নি, বরং প্রমাণিত হয়েছে—রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে আজও আইনকে কিভাবে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব। দ্রুত তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে সচেতন মহল।