রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নিপীড়নের শিকার অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু নামে একজন আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় চার মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। অলিউজ্জামান বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আওয়ামী লীগের বানেশ্বর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের চাচা। অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ সুজা জানান, বিকেল চারটার দিকে তাঁর চাচার মৃত্যু হয়। ঢাকা থেকে লাশ বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকায় শোক ঘোষণা ও মাইকিং চলছে। তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি অলিউজ্জামানকে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়, যা থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এই নির্যাতনের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা করার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। মামলা করার উপযুক্ত সময় হলে আদালতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ভাতিজা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অলিউজ্জামানের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মপোপনে ছিলেন। গত ২ জানুয়ারি রাতে বাড়ি ফিরে ৪ জানুয়ারি সকালে তিনি মাইপাড়া বাজারে চা খেতে যান। সেখান থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা মিঠুন, আহসান ও সীমান্তের নেতৃত্বে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর সড়কের একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি দেওয়া হয়। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে তিনি বলেন, মৃত্যুর খবর তার জানা নেই এবং এ পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা করেনি।