নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত হয়েছেন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজনের মৃত্যু হয় ।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে চালকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নবী সুদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজিম উদ্দিন নান্নু জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহী অভিমুখে চলা একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৪৮৬৪) বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ তেলপাম্প এলাকায় পৌঁছালে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী হাইচ মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-৯৭৯২) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালকসহ পাঁচজন মারা যান।
খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ, বনপাড়া ও গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালান। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, 'আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে সেখানেও তাদের মৃত্যু হয় ।'
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, 'নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে তবে ঘটনা স্থলে ৫ জন ও স্থানীয় হাসপাতালে ১ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ২ জন নিহত হয়েছেন।  দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্টি হওয়া যানজট নিরসনে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ কাজ করছে।'
এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসছে।