চলতি মাসে বিগত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চল এর ঘোড়াউত্রা ও ধনু নদী সহ ইটনা,মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এবং নিকলীর বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে।এর ফলে বিভিন্ন ফেরিঘাট ও নৌকা ঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। এতে সড়কপথে জেলা শহরের সঙ্গে হাওরের সকল ধরনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।এর ফলে এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সাধারণ জনগণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা,স্পিডবোট ও ট্রলারে নদী পারাপার হচ্ছেন। পানিবৃদ্ধির কারণে হাওরাঞ্চলের সঙ্গে করিমগঞ্জের বালিখোলা ফেরিঘাট ও চামড়া ঘাট, মিঠামইনের শান্তিপুর ফেরিঘাট, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি চলাচল। ফেরি বন্ধ থাকায় এখন জনগণ ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাহায্যে শহরে যাতায়াত করছে । তাদের ভাষ্যমতে,বর্ষার শুরুর মাস গুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হাওরের নদীগুলোতে প্রতিদিন পানি বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে হাওরের বিভিন্ন সাব-মার্সিবল সড়ক ডুবতে শুরু করেছে। আগে সহজেই ফেরি দিয়ে নদী পার হয়ে গাড়িতে করে শহরে আসা যাওয়া করা গেলেও এখন ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে কষ্ট করে শহরে আসতে হচ্ছে মুমূর্ষ রোগিদের। এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান,পানিবৃদ্ধির কারণে ফেরিঘাটের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওরাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো তা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।