ভৈরবে ছিনতাইরোধ ও অপরাধ কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড়ে নাগরিক সমাজ কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি আর এ মারুকি শাহিনের সভাপতিত্বে আলহাজ্ব সজীব  আহমেদের সঞ্চালনায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পরে  ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এর মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে এবিষয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ সোহেলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আল-মামুন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান কাপন,সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক, মোঃ আলাল উদ্দিন, সজীব আহমেদ, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল – আমিন, স্থানীয় নেতা এনকে সোহেল, শ্রমিক নেতা মোঃ হানিফ, ভৈরব চেম্বার পরিচালক তানভির, গণ অধিকার পরিষদ নেতা ইমতিয়াজ কাজল প্রমূখ।

 সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ভৈরবে আইনশৃংখলার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন শহরে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা – সেবন, খুন, মারামারি- সংঘর্ষসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দমন করতে পারছেনা। গত বুধবার ট্রাক চালক সজীব মিয়াকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর আগে গত কয়েকমাসে শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে শহরে। এতে ছিনতাইয়ের সময় একাধিক পথচারী ছুরিকাঘাতে আহত হয়। ভৈরবে মাদক ব্যবসা ও সেবন বেড়ে গেছে। মাদকাসক্তরা মাদক সেবনের টাকা যোগার করতে ছিনতাই করে মানুষের টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। বক্তারা বলেন, পুলিশের নিষ্কৃয়তার কারনে ভৈরবে অপরাধ, ছিনতাই বাড়ছে। সন্ধ্যার পর লোকজন রোডে চলাচল করতে গেলেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়। তারা থানার ওসি খন্দকার ফূয়াদ রুহানীকে দায়ী করেন। ছিনতাই ঘটনায় কেউ মামলা দিতে গেলে ওসি মামলা নিতে গড়িমসি করেন। আইনশৃংখলা ভৈরবে অবনতির জন্য বক্তারা ওসিকে দোষারোপ করেন। ভৈরবকে নিরাপদ শহর করতে হলে পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে, তাদের দাবি। আইনশৃংখলা দমনে ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারি দেন  তারা। সমাবেশ শেষে বক্তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ওসির কাছে।

এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  খন্দকার ফূয়াদ রাহানী বলেন, আইনশৃংখলা দমনে পুলিশ কাজ করছে। গত বুধবার ট্রাক চালক খুনের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাত সাড়ে ৩ টায় ঘটনাটি ঘটে একটি নির্জন এলাকায়। ঘটনার অপরাধীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। শহরে ছিনতাইরোধসহ মাদক প্রতিরোধ, অপরাধ দমনে আমরা প্রতিদিন চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যই কম হলেও অন্তত ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও  ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছি। তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ভৈরবের অপরাধ কমাতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।