হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় শহরের আলফাত স্কয়ারে এই গণ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন এর যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুল হক মিলন'র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক
রাজু আহমেদ'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,
জনউদ্যোগের আহ্বায়ক রামেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার,পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সভাপতি একেএম আবু নাছার, প্রেসক্লাব সভাপতি পংকজ কান্তি দে, জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক এড. খলিল রহমান, জেলা উদীচীর সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল হক,
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম জমনু, এড দীপঙ্কর বনিক,
জামালগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার আহমদ উসমান, ছাতক উপজেলার উজ্জীবক সুজন তালুকদার, রকিব রুবাইয়্যাত, বাংলাদেশ শ্রমীক কল্যাণ ফেডারেশন শফিউল আলম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,
সাদা পাথর হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী স্হান। সারা দেশে এবং বিদেশে এর পরিচিতি রয়েছে। সাদা পাথর যে লুটপাট হয়েছে, এটি নতুন কিছু নয়,আমরা বলবো সারা দেশেই এই লুট চলছে। সাদা পাথরের লুটপাট হচ্ছে এর একটি উদাহরণ। আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের যে আকাঙ্খা ছিল, সেই আকাঙ্ক্ষার দায়ে আমরা হতাশ হয়েছি।কেন,আমরা হতাশ হলাম, এই লুটের সঙ্গে রাজনৈতিক যে ঐক্য সেটার জন্য আমরা বিস্মিত হয়েছি।আমরা লক্ষ্য করছি, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এই লুটের একটি ঐক্য গড়ে তুলেছেন।তাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে লুট হয়েছে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ।আমরা লক্ষ্য করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনী এই লুটের একটি অংশ।বিভাগীয় কমিশনার এই লুটপাট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, যা গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি। এই বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা মনে করি, যারা এই লুটের মদদদাতা, যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের লোকজন যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রাস্ট্র মামলা দায়ের করুক। তাহলেই বলব যে আপনারা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন,
আমাদের শ্রমিকদের নৌকা ভেঙে নাটক মঞ্চস্থ বন্ধ করতে হবে।
আমাদের সুনামগঞ্জের পাথর- বালু লুট হয়েছে। এখানেও একটা রাজনৈতিক ঐক্য রয়েছে। মাঝপথে গণপিটুনিতে গালি দেয়, কিন্তু তারা চুরি যখন করে, এই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেটা প্রকাশ হয়।তাদের নেতৃত্বে আমাদের যাদু কাটা নদী লুট হয়েছে, ধোপাজান নদী, টাংঙ্গুয়ার হাওর লুট হয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ, প্রশাসনের লোকজন যুক্ত , এটা প্রমাণিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, নানাভাবে গণমাধ্যম কর্মীরা, হামলা- মামলা, নির্যাতন এবং হত্যার শিকার হচ্ছে। আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা মাথা উঁচু করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনা গণমাধ্যম কর্মীরা তুলে ধরেছেন। সারা দেশ তথা বিশ্বের নজরে এসেছে।