ভোলার বিছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলা । মনপুরা উপজেলার তিন ভাগের দুই ভাগে এখনো শুরু করা হয়নি বেড়িবাঁধের কাজ

ভোলার বিছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলা । মনপুরা উপজেলার  তিন ভাগের দুই ভাগে  এখনো শুরু করা হয়নি বেড়িবাঁধের কাজ। বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। মেঘনায় সামান্য জোয়ার হলেই প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে মানুষের ফসলের মাঠ  । জলোচ্ছ্বাস বা ঘূর্ণিঝড় হলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে করেন বেড়ির পাড়ে বসবাস করা  হাজার হাজার পরিবার গুলো । মনপুরার চার পাসে ৫০.৭০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু ২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় দুই বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো  কাজ হয়নি তিনের এক ভাগ। এর মধ্যে হচ্ছে অনিয়ম দুশ্চিন্তায় আছে মনপুরার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়  ভোলার মনপুরায় ৫০.৭০০ কিলোমিটার  বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ উন্নয়নের কাজ শুরু হয়২০২৩-২০২৪   অর্থ বছরে । ভোলা জেলা মুজিব নগর মনপুরা উপকূলীয় বাদ  পূর্ণবাসন নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন  ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্প টি শুরু করা হয়।  শুরুথেকে এ কাজ ৬  টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
(১) এন.বি.ই (২)ও টি.বি.এল
(৩)জি.সি.এল(৪)এল.এ.কে.এস.এস.এ(৫)পি.ডি.এল, এবং ওয়েস্টান শুরু করে এর কাজ শেষ করার কথা রয়েছে ২০২৬ সালে।

এরপর স্থানীয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাব ঠিকাদার নিয়োগ করে ৬ টি ঠিকাদারি কোম্পানি । তারপরই শুরু হয় নানা অনিয়ম, ওঠে বিস্তর অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করেছে। এমনকি বালু মিশ্রিত মাটি আনা হচ্ছে মনপুরার আশেপাশের চরগুলো থেকে । যার ফলে হুমকির মুখে পড়তেছে মানুষের জানমাল রক্ষাকবচ সংরক্ষিত চর।

জানা গেছে, মনপুরা উপজেলার ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এর জংলার খাল এলাকায় স্লুইসগেট এবং  বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। মেঘনার জোয়ার সামান্য বৃদ্ধি পেলেই পুরো এলাকা  প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়  গত বছর বর্ষার মৌসুমে  জংলার খাল এলাকার স্লুইসগেট এর ৪ টি দরজার মধ্যে ৩ টি দরজা পানিতে তলিয়ে যায় এর পর আর মেরামত করা হয়নি স্লুইসগেটের দরজা গুলো। স্লুইসগেট এর দরজা না থাকার কারনে পানি বন্দী হয়ে পরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের কোটি টাকার ফসল।

এলাকার স্থানীয় লোকজন আরও জানান। গতবছরের ন্যায় এবারে ও একি অবস্থা আমাদের গত বছরে কোন মতে জীবনটা বাঁচাতে পেরেছি এবার তো মনে হয় জীবনটাই বাঁচাতে পারবোনা। স্লুইসগেট টি মেরামত করার জন্য অনেক নেতাদের পিছনে পিছনে হেটেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এই বছর লবন পানি উঠে আমাদের পুকুরের মাছ, প্রায় ১শ একর জমিনের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা প্রায় দুই গ্রামের ২০ হাজার মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবো। তাই আমাদের প্রানের দাবী স্লুইসগেট টি যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করা হোক।