কিন্তু সরকারি এই নির্দেশ অমান্য করে ক্লাস নিচ্ছেন মনপুরা উপজেলার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ফিরোজ । তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ক্লাস পরিচালনা করছেন।
মঙ্গলবার সকালে হাজিরহাট এর প্রাণ কেন্দ্র প্রসাশনের নাকের ডগায় এই দৃশ্য এলাকার অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ফিরোজ ।
স্কুলে গিয়ে দেখা যায় সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক তার নিজ কক্ষে বসে কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের মত করে শ্রেণী কক্ষে বসে ক্লাস করছেন ।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে কথা হয় অন্তত ১০ জন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁদের ভাষ্য, সরকারি নির্দেশনার ব্যাপারে বিদ্যালয় থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি সারাদেশে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এটি এই প্রধান শিক্ষক মানতে নারাজ। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কিছুতেই জানেন না সরকারি নির্দেশনা।
কয়েকজন সাংবাদিক প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ফিরোজ কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এত ছোট খাটো একটা বিষয় নিয়ে এমন করা লাগে? আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি বিদ্যালয়ে । তোমরা স্যারকে ফোন দেওয়ার কারণে আমরা আর অনুষ্ঠান করেনি । স্কুল ছুটি দিয়ে দিচ্ছি আর অনুষ্ঠান করতে পারিনি ।
মনপুরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার টিপু সুলতান বলেন, কোনোভাবেই সরকারি আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। তাঁরা কেন সরকারি আদেশ অমান্য করে স্কুল খোলা রেখেছে বিষয়টি দেখছি ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি কে একাধিক বার কল দিয়ে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।