গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাতে শহরের শিববাড়ি মোড় থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে ও সাড়ে ১১টায় মহানগরীর বোর্ডবাজার সংলগ্ন আল-হেরা সিএনজি পাম্প মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মৃতের লাশ দাফনের কথা রয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্যে গাজীপুর মহানগর ছাত্র শিবিরের ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, শহিদ কাশেমকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদরা হত্যা করেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছাত্র জনতাকে যে কথা দিয়েছে, আশা করি সেই কথা তিনি রক্ষা করবেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যারা এই হত্যাকান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

নিহত আবুল কাশেম (১৭) গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার মৃত জামান হাজীর ছেলে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাশেমের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান। 

এর আগে গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা হামলা করেছে মর্মে এলাকাবাসিদের জানান দিয়ে তাদের আটকে রেখে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর আহতের খবর জানা গেছে।

এ ঘটনার পরদিন শনিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় একটি মামলা দাখিল করেন। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বলেও জানা গেছে।