অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন মাটিরাঙা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার (২১জুলাই) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা মডেল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে এঘটনা ঘটে।
রিফাত মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড নবীনগর এলাকার শ্রমিক স্বপন মিয়ার ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, সকালে ক্লাসে বাংলা হাতের লেখা জমা দেয়ার সময় শিশুদের দৌড়াদৌড়িতে টেবিলের উপর রাখা শিক্ষক ফারুক হোসেনের মোবাইল সেটটি
পড়ে যায়। শখের মোবাইল ফোনটি পড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। শেষে ঘাড়ে আঘাত করলে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
রিফাতের মা রেহেনা আক্তার বলেন,সকালে আমার সুস্থ ছেলেকে স্কুলে পাঠালাম,দুপুরে আমি স্কুলে ছেলেকে আনতে গেলে আমার ছোট ছেলে আমাকে বলে ভাইয়াকে স্যার মেরে হাসপাতালে নিয়ে যায়।আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে ছেলে অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ি,আমার ছেলের ঘাড়ে টিউমার ছিলো,সেই ঘাড়েই প্রচন্ড ভাবে প্রহার করে শিক্ষক ফারুক। আমি এর উচিত বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ক্লাস নেওয়ার সময় আমার মোবাইলটা জানালার ফাঁকে রেখেছিলাম। ওরা তারাহুরো করে দৌড়াদৌড়িতে মোবাইল ফোনটি পড়ে গেলে রাগের মাথায় ২/৩টা থাপ্পর দিয়েছি। এর পর ছেলে একটু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমি নিজেই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, দাপ্তরিক কাজে সকালে জেলা সদরে এসেছেন। এ ঘটনার বিষয় কিছুই জানেনা বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শোভন দত্ত বলেন, ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক্সরে রিপোর্ট নঅ আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।রিপোর্ট আসুক তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।