সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রায় দেড় যুগ পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হয়ে আসেন। এ সময় কারা ফটকে অপেক্ষমান নেত্রকোনা থেকে আসা তাঁর সমর্থক ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, আজ সকালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিননামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ২ টার দিকে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাবরের মুক্তির খবর পাওয়ার খবর পেয়ে গত রাতেই নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরি থেকে বাবরের কয়েক হাজার সমর্থক এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রোওনা দেন। আজ সকাল থেকেই কারাগারের সামনে এসে তারা উপস্তিত হোন তাদের সকলের চোখে মুখে এ যেন এক তৃপ্তির হাসি। তাঁরা ফুলের মালা নিয়ে কারা ফটকে অবস্থান নিয়ে বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় থাকেন। দুপুর ২ টার দিকে বাবর কারাগার থেকে বের হোন। এরপর ছাদখোলা প্রাইভেট কার থেকে তাঁর সমর্থক ও কর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। ডিবি হারুনের স্ব-ঘোষিত ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হান্নান তালুকদার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতীমন্ত্রী জনাব বাববের মুক্তির আনন্দ উপলক্ষে তার নেতৃত্বে একটি বিশাল শোভাযাত্রা ও আনন্দ মিছিল নিয়ে যান। উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু-হান্নান তালুকদারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নে। মোঃ আবু-হান্নান তালুকদার বলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ষড়যন্ত্র করে আমাদের ভাটি-বাংলার প্রাণ পুরুষ যাকে লাখো তরুণরা তাদের রাজনৈতিক আইডল মনে করে সেই আমাদের নেতাকে ১৭ বছর যাবত কারাগারে রাখে। শুধু তাই না জাতীয়তাবাদের শক্তিকে ধারণ করে জনাব তারেক রহমানের হাতকে যেন শক্তিশালী না করতে পারেন সে জন্যই মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়, যাবতজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। কিন্তু আজ জনতা দেখিয়ে দিল জাতীয়তাবাদের শক্তি ধারণ করা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক বাবর ভাই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চেয়েও জনপ্রিয় নেতা আমাদের বাবর ভাই। উল্লেখ্য দুপুর ২ টায় জনাব লুৎফুজ্জামান বাবর কারাগার থেকে বের হয়ে সোজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিয়া উদ্দ্যান পর্যন্ত জনাব বাবর ও বিনপির লাখ লাখ কর্মী সমর্থকদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। সেখান থেকে বিকাল ৫ টার দিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পৌঁছিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।