মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নে স্বামী ও জা-দের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী হাশেদা বেগম (২৫) আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার ১২ জুন বিকেল দিকে স্বামীর বাড়ি আধারা ইউনিয়নের শরআটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন রাতে নিহতের বড় ভাই নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় স্বামী আশরাফুল ও তার বড় দুই ভাবির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঘটনায় পর থেকে বাড়িঘর তালা দিয়ে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত স্বামী আশরাফুল রহমান সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নে শরআটি গ্রামের নুরুদ্দিন বক্সর ছেলে এবং নিহত হাশেদা বেগম শিলই ইউনিয়নের শিলই গ্রামের হাসেম ঢালীর মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। দম্পতির পাঁচ বছরের আলিফা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই হাশেদা বেগমের স্বামী আশরাফুল রহমান ও তার দুই ভাবি বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আত্মহত্মা করার জন্য উসকানি দিত।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদের আগে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে। গত কুরবানী ঈদের পর বোনের সুখের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি গরু কিনে দেন নিহত হাশেদা বেগমের ভাই নূর মোহাম্মদ ঢালী। সেই গরু এক বছর লালন-পালন করে ঈদে বিক্রি করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ঈদের দিন সেই টাকা থেকে ভাইয়ের টাকা চেয়েছেন স্ত্রী হাশেদা বেগম। কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে উল্টো গরু বিক্রির সমস্ত টাকা দিয়ে দেন আশরাফুল তার ভাবীদের কাছে। এতে রাগ-ক্ষোভের একপর্যায়ে হাশেদা কীটনাশক পান করে। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে। পরদিন শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে মারা যায় হাশেদা বেগম।
নিহতের ভাবি তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ননদকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে বাধ্য করা হয়েছে বিষ পানে। ননদের সুখের জন্য প্রথমে তিন ভরি স্বর্ণ, স্টিলের আলমারি ও একটি মিশুক কিনতে টাকা দিয়েছি। তার পর গরু কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু সুখ হলো না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আর তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। দম্পতির পাঁচ বছরের আলিফা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই হাশেদা বেগমের স্বামী আশরাফুল রহমান ও তার দুই ভাবি বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আত্মহত্মা করার জন্য উসকানি দিত।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদের আগে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে। গত কুরবানী ঈদের পর বোনের সুখের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি গরু কিনে দেন নিহত হাশেদা বেগমের ভাই নূর মোহাম্মদ ঢালী। সেই গরু এক বছর লালন-পালন করে ঈদে বিক্রি করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ঈদের দিন সেই টাকা থেকে ভাইয়ের টাকা চেয়েছেন স্ত্রী হাশেদা বেগম। কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে উল্টো গরু বিক্রির সমস্ত টাকা দিয়ে দেন আশরাফুল তার ভাবীদের কাছে। এতে রাগ-ক্ষোভের একপর্যায়ে হাশেদা কীটনাশক পান করে। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে। পরদিন শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে মারা যায় হাশেদা বেগম।
নিহতের ভাবি তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ননদকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে বাধ্য করা হয়েছে বিষ পানে। ননদের সুখের জন্য প্রথমে তিন ভরি স্বর্ণ, স্টিলের আলমারি ও একটি মিশুক কিনতে টাকা দিয়েছি। তার পর গরু কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু সুখ হলো না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আর তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পান করে হাশেদা নামের ওই নারী। পরে ঢাকা হাসপাতালে গেলে তারা রুগীর অবস্থা খারাপ দেখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তার একদিন পরে শুক্রবার বিকেলে হাশেদা মারা যায়। পরে তার বড় ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় স্বামী ও তার দুই ভাবির বিরুদ্ধে মামালা করেন। আমরা আসামি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।