বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার হরেকৃষ্ণ অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম ও ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

২০২৫ সালের ২১ জুলাই প্রেরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত প্রায় ১০ মাসে সরকারি প্রকল্প, ক্রয়, টেন্ডার ও ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছ থেকে সরকারি অনুদান ও প্রকল্প অনুমোদনের নামে ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা দাবি করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়—

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উদযাপনের অজুহাতে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ১৬ লাখ টাকার লটারি বিক্রি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়।

টেন্ডার প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব ও কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণে প্রায় ২৩ লাখ টাকার প্রকল্পে অনিয়ম।

এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার দেওয়া টিন, সোলার প্যানেল ও খাদ্যসামগ্রী প্রাপকদের মাঝে বিতরণ না করে ব্যক্তিগত ভাগাভাগি।


এ ছাড়া খাদ্যশস্য ক্রয়, সরকারি জমি দখল, টেন্ডার বানচাল ও ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতসহ একাধিক অনিয়মের বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপি নেতা জব্বার চোধুরী, নাসিম সিকদার ও মোঃ আঃ আলীম শিকদার, ব্যবসায়ী মোঃ হুমায়ুন আজাদ ও মোঃ নাজমুল হাসান।

তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারীর দপ্তরে গেলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানান, “ওই বিষয় নিয়ে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, পরে কথা বলব।”