পৌরবাসীর অবহেলা অযত্নে ও সচেতনতার অভাবে ময়লার বাগারে পরিনত হয়েছে, দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও দুপারে স্টীলের রেলিং ও রঙিন স্টীট লাইটে সাজানো নান্দনিক শিয়ালজানি খাল।
প্রাচীন আমলের খরস্রোতা শিয়ালজান খাল।এটি কংশ নদী হতে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কয়েক দশক ধরে এ খালটি বিভিন্ন মানুষের দখলে গিয়ে বিলুপ্ত হয়ে পড়ছিল। কয়েক বছর আগে এটি পুনঃ খনন করে সরকার। প্রা তিন কিলোমিটার পৌরসভার অংশে খলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দু পারে ওয়াকওয়ে কয়েকশ রঙ্গিন স্টীট লাইট,স্টীলের রেলিং কিছিদুর পরে পরে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বসার স্থান,ছায়ার জন্য ছাতা, বিলাশবহুল ৫ টি ব্রীজ, খালের তলা থেকে উপর পর্যন্ত ব্লক বসিয়ে পরিস্কার ও স্বচ্ছ পানি প্রবাহের জন্য কংশ নদীর সংযোগে খালে স্লুইস গেইট, পথচারীদের প্রয়োজনে খাল পাড়ে পাবলিক বাথরুম,। ভোর হলে এলাকার বৃদ্ধ সহ অসংখ্য মানুষ হাঁটতেন,বিকেল হলে বিভিন্ন বয়সের নারীরা হাঁটতেন খাল পাড়ে সাচ্ছন্দ্যে। কিন্ত খালপারের কিছু বাসিন্দা ও কিছু সংখ্যক হোটেল ব্যবসায়ী তাদের সমস্ত ময়লা খালের ভেতরে ফেলে এই খালটিকে ময়লার বাগারে পরিনত করেছে।
খালের পাড়ে এখন শুধু ময়লার দুর্গন্দ। ভোরে আর হাঁটার পরিবেশ নেই, সন্ধ্যা লাইট বন্ধ থাকে তাই খাল পরে আসেন না কোন নারী বা পুরুষ।
রেলিং ভেঙে নিচ্ছে রাতে কোনও অসাধু চক্র। দিনদিন খালটি সৌন্দর্য হাড়িয়ে ময়লার বাগর।
মোহনগঞ্জ পৌরবাসীর সচেতনতাই পারে এই দৃষ্টি নন্দন শিয়ালজানি খালের সৌন্দর্য ধরে রাখতে।