বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার বিকাশে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) এক যুগান্তকারী অংশীদারিত্বে আবদ্ধ হয়েছে। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জাতীয় যুব নীতি ২০১৭-এর পর্যালোচনা, যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থার ডাটাবেজ তৈরি এবং যুব ও জেন্ডার সংক্রান্ত তথ্যভিত্তিক কার্যক্রমের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, “২০২২ সালে জাতীয় যুব নীতির প্রথম পর্যালোচনা হওয়ার কথা ছিল। এটি তরুণদের অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।”
UNFPA প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, “তরুণরা যেন তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারে, সেজন্য তথ্য ও সরঞ্জামের মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশেষ করে কিশোরীদের জন্য বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের পথ সুগম করাই আমাদের লক্ষ্য।”
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, “এই চুক্তি তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে, যাতে তারা ডিজিটাল অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করতে পারে।”
চুক্তির আওতায় জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণমূলক নীতিনির্ধারণে সম্পৃক্ত করা, যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর সমন্বয় বৃদ্ধি এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক তথ্যপত্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
এই অংশীদারিত্ব ‘Youth2030’ এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে তরুণদেরকে জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও UNFPA।