রাইসা মনি রাজধানীর স্বনামধন্য মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে। পিতা শাহাবুল শেখ পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং বর্তমানে মিরপুরে বসবাস করছেন। রাইসা তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান।
বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই রাইসা নিখোঁজ ছিল। তার পরিবার বিভিন্ন হাসপাতাল, সিএমএইচ এবং দুর্ঘটনাস্থলে খোঁজ চালিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে একটি দগ্ধ মরদেহের শনাক্তকরণের খবর পাওয়া যায়। মুখমণ্ডলের আংশিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় চিহ্ন দেখে তার বাবা শাহাবুল শেখ মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়।
রাইসার দেহের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানান। দুর্ঘটনার সময় রাইসা স্কুল চত্বরে অবস্থান করছিল এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সে গুরুতর দগ্ধ হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাইসা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও প্রাণবন্ত এক শিশু। তার প্রাণ হারানোতে শুধু পরিবার নয়, গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা তার জন্য গভীর শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
রাইসার মরদেহ আলফাডাঙ্গার নিজ গ্রামে আনা হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিমান দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দায়ী পক্ষ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।