বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের বাহের মোড় বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সকালে সিরাজুল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে শাফিরুল, সবুজ, লিংকন ও সবুজ-২ সহ ১০-১২ জন তার উপর হামলা চালায়। এর আগে অভিযুক্তরা তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে লোহার রড, হকিস্টিক ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বুধবার (২৭ আগস্ট) আমার দোকানে হালখাতা চলছিল। এসময় পাট্টা গ্রামের শাফিরুলের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে প্রথমে কিছু খাওয়ানোর কথা বলে। আমার কাছে তোরা কি খাবি, আর তোদেরকেই বা আমি কি খাওয়াবো? তখন তারা বলে খাওয়াতে হবে না ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা বৃহস্পতিবার সকালে দোকানে এসে লোহার রড, হকিস্টিক ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছে এবং আমার মহাজনকে দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসছিলাম ও ব্যবসায়ের জন্য দোকানে রাখা প্রায় ৫ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।” এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলামকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কুতুব আহমেদ উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত শাফিরুল মুঠোফোনে বলেন, “আমার দুলা ভাই বশিরের সঙ্গে সিরাজুলের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সে আমার দুলা ভাইকে মারপিট করেছে। এ নিয়ে আমিসহ গ্রামের কিছু লোকজন কথা বলতে গেলে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়।” তবে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, "হালখাতায় টাকা কম দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।"