রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার শঙ্কা কৃষকদের থাকলেও কৃষি বিভাগ বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ রোপন হবে। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্পদসোরণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজবাড়ী জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় জেলা। এ অর্থ বছরে এ জেলার ৫ উপজেলায় ৩৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। রবি প্রণোদনা হিসাবে ৪ হাজার কৃষকের পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়। বিএডিসির সরবরাহকৃত পেঁয়াজ বীজ রাজবাড়ী জেলা সদরে ৮০০জন, পাংশায় ১০০০জন, কালুখালীতে ৮০০জন, বালিয়াকান্দিতে ১০০০জন ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪০০ জন কষকের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিএডিসির বীজ অঙ্কুরোদগম না হওয়ায় পুনরায় পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়। কৃষকরা জানিয়েছেন, ১ কেজি বীজ থেকে ভালো চারা জন্ম নিলে ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা যায়। পেঁয়াজ রোপন করা শুরু হয়েছে। যারা আগাম পেঁয়াজের চারা তৈরী করেছিল, তারাই রোপন করছেন। কৃষক মিতুল মোল্লা হাসান খান ও জাফর বলেন, বেশির ভাগ কৃষক এখন পেঁয়াজ রোপন করছেন। এ কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বেশি মূল্যে শ্রমিক কাজ। 
করায় পেঁয়াজ চাষে খরচ বাড়ছে। বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলাতে এখন পেঁয়াজ রোপনের হুম পড়েছে। কৃষকরা সকাল থেকেই পেঁয়াজ রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ রোপন হবে বলে রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ টি উপজেলাতে ৩৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা নিধারন করা হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হবে। পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকরা ঘুরে দারাবে বলে প্রত্যাশা।