দীর্ঘ সময় পর রামুর শিল্পী সাহিত্যিকরা এক আনন্দ ঘন সময় পার করলো। গত বুধবার পড়ন্ত এক বিকেলে রামু কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খ্যাতিমান সাহিত্যিক সুপ্রতিম বড়ুয়ার সম্মানে এক আনন্দ আড্ডার আয়োজন করা হয়। প্রাণবন্ত এ শিল্পসাহিত্যের আড্ডায় মুখরিত হয়েছিলো শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসেনের প্রত্নবস্তু দিয়ে সাজানো নন্দনিক বাড়িটি।
বাংলা শিল্প সাহিত্যে সংস্কৃতির এক বড় উদ্দীপনা শক্তি হল বাঙালির আড্ডা। আড্ডা প্রতিভা বিকাশের সহায়ক। কিন্তু এখন আর কাউকেই টেবিল চাপড়িয়ে আড্ডা দিতে খুব একটা দেখা যায় না। মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। এ প্রবণতা দিন দিন মানুষকে সঙ্গীহীন এবং একা করে দিচ্ছে। অথচ সৃষ্টিশীল যে-কোনো কাজের জন্য আড্ডা অপরিহার্য। শিল্প-সাহিত্য তো বটেই, সাধারণ জানাশোনার জন্যও দরকার হয় আড্ডার। দেখাগেছে প্রখ্যাত কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-ভাস্কর ক্যাফেটেরিয়ায় এসে আড্ডা দিতেন। ঠাকুরবাড়ির আড্ডার কথা আমাদের কম-বেশি জানা। সেই দ্বারকানাথ ঠাকুরের আমল থেকে আড্ডার রেওয়াজ চালু রয়েছে।
সম্প্রতি বিশিষ্ট ছড়াকার শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসেন এর নিজ বাড়িতে সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো । শিশুসাহিত্যিক ছড়াকার কামাল হোসেন এর অনবদ্য সঞ্চালনায় সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলার শিল্পসাহিত্য জগতের গুণী ব্যক্তিত্ব, সংগীত ব্যক্তিত্ব, লেখক প্রাবন্ধিকবৃন্দ। সাহিত্য এক ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করে।
আড্ডার মধ্যমনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সুপ্রতিম বড়ুয়া বলেন, এ সাহিত্য আড্ডায় আমাদের চিন্তার আদান-প্রদান যেমন থাকে, তেমনি নতুন লেখা পাঠ, তার বিচার-বিশ্নেষণ কবির লেখাকে পরিপুষ্ট করে তোলে। আড্ডায় রামুর অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমসাময়িক কবি-লেখকদের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বিশিষ্ট ছড়াকার শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসেন এর এই সাহিত্য আড্ডা রামুর ঐতিহ্যকে আবার যেন প্রাণের সঞ্চার জাগিয়েছে। এই সাহিত্য আড্ডা চলমান থাকুক এবং কামাল তাঁর সৃষ্টিশীল কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাক সেই কামনা করি।